দলছুট প্রশ্নেরা
-রীণা চ্যাটার্জী
সুধী,
শরৎ কালের বিদায় বেলায় শুনি উৎসবের বিসর্জন ধ্বনি। উৎসবপ্রিয় জনজীবন কর্মব্যস্ততার ছন্দে ফিরে আসছে স্বাভাবিক ভাবেই। দেশ জুড়ে নানান পূজা-পার্বণ পালিত হলো বিগত পক্ষকালব্যাপী। শুভেচ্ছা, শুভকামনা, অভিনন্দন সব কিছুর সাথেই এসেছে হৃদয় বিদারক শোকবার্তা। মুহুর্তে উৎসবের আবহ থমকে গেছে। একটি রেল দুর্ঘটনায় মৃত এক লহমায় বেশ কিছু জীবন… শোকাবহ পরিবেশ। আমরা তর্জনী তুললাম একে অপরের দিকে। কেন হলো? কিভাবে হলো এ গতানুগতিক প্রশ্ন থাকবে, থাকবেই।
তদন্ত কমিটি গঠিত হবে, নিষ্ফল তদন্ত হবে। হোক… যদি দলছুটের মতো অন্যরকম ভাবি?
দুর্ঘটনার স্থানটি কি আদৌ সার্বজনীন উৎসব জমায়েতের জন্য নিরাপদ ছিল? গতিশীল একটি ট্রেন কি তার ইচ্ছেমতো গতি নিয়ন্ত্রণ করতে পারে? বিজ্ঞান কি বলে! সময়, দৃশ্যমানতা কিছুই কি নির্ভর করে না? যেখানে নিত্যনৈমিত্তিক ট্রেন চলাচলের সময় নির্ধারণ করা থাকে সেই স্থানে একটি সার্বজনীন উৎসব জমায়েতের আয়োজন হয় কোন যুক্তিতে? সাধারন জ্ঞান কি বলে! ক্ষমতার আস্ফালন? ধর্মের নামে রঞ্জিত করে বাহুবল প্রদর্শন? ধর্ম কি চায়! ধর্ম, ক্ষমতা দুইয়ের মোহে অন্ধ হয়ে পারিপার্শ্বিক অবস্থা, পরবর্তী সময়ের বিপদের আশঙ্কার কথা কিছুই কি আয়োজকদের ভাবনায় অগ্ৰাধিকার পায় না? সামাজিকতা কি জানে! আয়োজকদের কি স্থান,কাল বিবেচনার কোনো দায় থাকে না? দায়িত্ব বোধ কিরকম! যাঁরা শিশু পরিবারসহ কোনো উৎসবে যোগ দিতে যাবেন, তাঁরাও কি কোনো কিছুই না ভেবে সেই স্থানে জমায়েত হবেন? ধর্মান্ধতায়, উৎসবের আমেজে কি পরিবারের নিরাপত্তার কথা বিবেচনায় আসবে না? কতোটা অসহায়! যদি তাঁদের উপর জমায়েত হবার জন্য আয়োজকদের তর্জনী নির্দেশ থাকে, তাহলে কিছুই বলার নেই, দুর্ভাগ্য আমাদের… অসহায়ত্ব। নাহলে শুধুই অন্ধ ধর্মাচরণ! আর কতোদিন! কেন?
সাহিত্য আলাপনে সুসজ্জিত ‘আলাপী মন’ সাহিত্যের আঙিনা। ‘জল-শব্দ’, ‘যদি ফোটে ব্রহ্মকমল’, ‘উষ্ণতার খোঁজে’, ‘অনুভূতি’, ‘বানান বিভ্রাট’, ‘একটা অকাল বোধন’, ‘উপলব্ধি’, ‘সফল সরণী’, ‘বোধন’ (রেহানা দেবনাথ), ‘শেষ পৃষ্ঠায়’, ‘কালচক্র’, ‘ঠিকানা’, ‘বাইপাস ও বিয়ারের ক্যান’, ‘উত্তাপহীন মন’ আরো বেশ কিছু কলমের ছোঁয়ায সমৃদ্ধ ‘আলাপী মন’।
কাশের দোলার মাতন থেমে তিরিতিরি কাঁপন ধরিয়ে পাতায় পাতায় হেমন্তের মৃদু পদসঞ্চার। পাঠক বন্ধু, স্বজন সাথীদের জানাই হৈমন্তী শুভেচ্ছা, শুভকামনা।